মোনাজাতে শরিক হন নারীরাও
- আপলোড সময় : ০৩-০২-২০২৫ ০২:২২:৪৩ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৩-০২-২০২৫ ০৬:৫১:১৯ অপরাহ্ন
গাজীপুর প্রতিনিধি যে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ, সেই আখেরি মোনাজাতে এবার বিপুল সংখ্যক নারীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। গতকাল রোববার শুরায়ে নেজাম (জুবায়ের) অনুসারীদের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদ। সকাল ৯টা ১১ মিনিটে শুরু হয় এই মোনাজাত, যা চলে ৯টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না থাকায় কয়েক হাজার নারী অবস্থান নেন ময়দানের আশেপাশে। তাদের অনেকেই শনিবার রাত থেকে বিভিন্ন কারখানা, বাসা-বাড়ি ও দালানের ছাদে অবস্থান নেন। ভোর থেকে নারীরা ময়দানের পাশে আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল মাঠ, ইজতেমা মাঠের পশ্চিম পাশে কামারপাড়ায় এবং আশপাশের খোলা ময়দানে অবস্থান নেন। নরসিংদীর আমেনা আক্তার বলেন, নরসিংদী থেকে আগের রাতে নাতিকে সঙ্গে নিয়ে এসে টঙ্গী হাসপাতাল মাঠে অবস্থান নিই। বিশ্ব ইজতেমায় নারীদের অংশগ্রহণের কোনো অনুমতি না থাকলেও আমরা পর্দার সঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লিদের সঙ্গে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে টঙ্গী হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান নিই। একই কথা জানালেন গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে আসা সালমা বেগম। তিনি বলেন, মোনাজাতে শরিক হতে রোববার ভোরে ইজতেমা ময়দানের পূর্বপাশে এক ভবনের ছাদে বসে অবস্থান নেন। আল্লার কাছে নিজের, পরিবার ও দেশে কল্যাণ কামনা করতে মোনাজাতে অংশ নিই। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকা থেকে আসা সেলিনা আক্তার বলেন, স্বামী-সন্তান সবাই ইজতেমা ময়দানে গেছেন। আর আমি শনিবার রাতে টঙ্গীতে আমার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে আখেরি মোনাজাতে শরিক হয়েছি। নারায়াণগঞ্জ থেকে স্বামী, ছেলে ও পুত্রবধূকে নিয়ে আসেন শাহানা আক্তার। তিনি জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে তারা ইজতেমায় এলাকায় আসেন। ফ্লাইওভারের নিচে মহাসড়কের পাশে তারা অবস্থান নেন। মানিকগঞ্জ থেকে আসা কমলা বানু বলেন, লাখো মুসল্লির সঙ্গে মোনাজাতে শরিক হয়ে আমার মোনাজাতটি কবুল হয়ে যেতে পারে। তাই আল্লাহর কাছে চাইতে মানিকগঞ্জ থেকে এসেছি। পাপের জন্য ক্ষমা চাইতে এসেছি, লাখ লাখ মানুষের মাঝে আল্লাহ হয়তো কারো উছিলায় আমার কথা শুনবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ